যা খুজতে চান

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Popular Posts

About blog

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প ,নাটক ইত্যাদি বিষয় আলোচনা এবং অডিও বই এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে বাঙালিদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া’ ই আমাদের উদ্দেশ্য,আমাদের তৈরি ভিডিও গুলো আপনাদের উপকারে লাগলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১

 Get pdf

মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটি প্রহসন রয়েছে, একটি হলো একেই কি বলে সভ্যতা  আরেকটি হলো বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ


প্রহসন হলো হাস্যরস বিশিষ্ট নাটক তবে নাটকের মতো দৈর্ঘ্যে, বিষয়বস্তু এবং চরিত্রে জটিলতা থাকে না সমাজের বিভিন্ন অনৈতিকতা এবং অনাচার
এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ভুল ভ্রান্তি তুলে ধরা হয়।


একেই কি বলে সভ্যতা

মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রহসন একেই কি বলে সভ্যতা(১৮৬০) সালে প্রকাশিত হয়। দুটি অঙ্ক এবং চারটি গর্ভাঙ্ক নিয়ে রচিত এ প্রহসনের প্রধান চরিত্রগুলো হলো নব বাবু,কত্তা মশাই (নব বাবুর পিতা, কালী বাবু (নব বাবুর বন্ধু,বাবাজী (কত্তা মশায়ের অনুচর,বৈদ্যনাথ (নব বাবুর বাড়ির চাকর)এছারাও রয়েছে গৃহিণী (নব বাবুর মাতা, প্রসন্নময়ী, বারবিলাসীনি, নৃত্যকালী ইত্যাদি।

একেই কি বলে সভ্যতা প্রহসনে তৎকালীন ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ইংয় বেঙ্গলদের অনাচার ও দূরাচার এর বর্ননা তুলে ধরা হয়েছে। ইংয় বেঙ্গলদের বেশির ভাগই ছিল বাঙালী ধনী শ্রেণির সন্তান, নব বাবু চরিত্রটি তেমনি একজন করে তুলে ধরা হয়েছে এ প্রহসনে। নববাবু এবং তার বন্ধু কালী বাবুর চেষ্টায় একটি সংগঠন গড়ে ওটে যার নাম জ্ঞানতরঙ্গীনী সভা, উদ্দেশ্য সে সভার নামে একসাথে বসে মদ্যপান এবং বারবণিতার সঙ্গলাভ করা। একদিন কালীবাবু নববাবুর বাড়িতে গেলে নববাবুর পিতার সাথে কালীবাবুর সাক্ষাৎ হয় এবং ভুয়া পরিচয়ে কত্তা বাবুর (নব বাবুর পিতা) সাথে জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা সমন্ধে মিথ্যা বানোয়াট প্রসংসামূলক আলোচনা করে এবং নব বাবুকে কৌশলে রাত্রে বাহিরে নিয়ে যায়,ফলে কত্তা বাবুর মনে সন্দেহ জাগ্রত হয় এবং তিনি কলকাতায় খোজখবর নেওয়া এবং জ্ঞানতরঙ্গিনী সভার রহস্য উৎঘাঠনের  জন্য নিজের অনুচর বাবাজিকে পাঠান। বাবাজির কাছে সব রহস্য ধরা পড়লে নব বাবু তাকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখেন। এভাবেই জ্ঞানতরঙ্গিনী সভার কার্যকালাপ চলতে থাকে। একদিন রাতে নব বাবু অধিক মদ্যপানের কারনে মাতাল অবস্থায় ঘরে ফিরে এসে প্রলাপ বকতে শুরু করে। পুত্রের এ অবস্থা দেখে পিতা সবকিছু বুঝতে পারেন এবং কলকাতা থেকে বসতি উঠিয়ে শ্রীবিন্দাবনে নেওয়ার সিন্ধান্ত নেন।

এভাবেই হাস্য কৌতুকদের মাধ্যমে ব্যাঙ্গ ভাষায় তৎকালীন ইংয় বেঙ্গলের ভ্রষ্টাচারী তরুনদেরকে তুলে ধরেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ 

এ প্রহসনটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয় এর প্রথম নাম ছিল  ভগ্ন শিবমন্দির, পরে নাম পরিবর্তন করে বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রো করা হয় বুড়ো বয়সের ভীমরতিকে ব্যাঙ্গের মাধ্যমে তুলে করে এটি রচনা করা  হয়।প্রহসনের প্রধান চরিত্রে রয়েছে ভক্ত প্রসাদ বাবু (গ্রামের জমিদার),হানিফ গাজি,পঞ্চানন বাচস্পতি,ফাতেমা,গদাধর,পুটি ,ইত্যাদি।

বুড়ো জমিদার ভক্তপ্রসাদ বাবু অন্যান্য দশজন শোষক শ্রেণির জমিদারের মতোই যার মূল কাজই হলো খাজনা আদায় করা।বাহিরে কথায় কথায় ধর্মের কথা বলেন কিন্তু ভেতরে রয়েছে কামনার বাসনা, গদাধর এর কাছে হানিফ নামে এক প্রজার স্ত্রী ফাতিমার রূপের বর্ণনা শুনে তার মনে আখাঙ্খা জাগে এবং পুঁটিকে নিয়োগ করে।,পুটি ফাতেমাকে রাজী করানোর জন্য হানিফের বাড়ি যায় এবং ফাতেমার সাথে আলাপ করে,ফাতেমা তার স্বামী হানিফ কে সকল কিছু খুলে বললে হানিফ বুড়ো জমিদার ভক্তপ্রসাদ বাবুকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পঞ্চানন বাচস্পতিকে নিয়ে ফাতেমার মাধ্যমে শিবমন্দিরের ধারে জমিদারকে এনে উত্তম মধ্যম দেয়।

 

0 comments:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.