যা খুজতে চান

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Popular Posts

About blog

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প ,নাটক ইত্যাদি বিষয় আলোচনা এবং অডিও বই এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে বাঙালিদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া’ ই আমাদের উদ্দেশ্য,আমাদের তৈরি ভিডিও গুলো আপনাদের উপকারে লাগলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
শনিবার, ১২ জুন, ২০২১


 মেঘদূত

  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেঘদূত প্রবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাচীন সাহিত্য(১৮৯১) গ্রন্থের অন্তগর্ত। প্রবন্ধটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকবি কালীদাসের  মেঘদূত কাব্যকে উপলক্ষ করে রচনা করেছন। মহাকবি কালিদাসের সৌর্ন্দয্য চেতনার সাথে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৌর্ন্দয্য চেতনার এক সার্থক মিলন ঘটেছে এ প্রবন্ধে।তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেঘদূত প্রবন্ধ আলোকপাত করার পূর্বে মহাকবি কালীদাসের মেঘদূত কাব্য আলোকপাত করতে হবে।

কালীদাসের মেঘদূত কাব্য দুটি খণ্ডে বিভক্ত  যথা পূর্বমেঘউত্তরমেঘ, কাজে অসাবধানতা অবলম্বন করার জন্য যক্ষকে  প্রভুর অভিশাপে রামগিরি পর্বতের বিজন আশ্রমে নির্বাসিত হতে হয়। সেখানে একাকী দিন কাটানো যক্ষ এর মনে প্রিয়ার কথা মনে পড়ে কিন্তু সেখানে তার কোনো উপায়ান্তর ছিল না, কারন সে ছিল নির্বাসিত তখন  সে মেঘকে এই  বলে মিনতি করে অলকায় আমার প্রিয়া আমার জন্য অপেক্ষার নিমিত্তে দিন কাটাচ্ছে তুমি দয়া করে আমার বার্তা অলকাপুরীর  রম্যপ্রসাদে আমার প্রিয়ার নিকট প্রেরণ কর। যক্ষ বিরহের আতিশায্যে জীব এবং জড় বস্তুর ভেদাবেদ লুপ্ত  হয়ে  এমন পরিস্থিতির শিকার হয়। তিনি তার প্রিয়ার নিকট মেঘকে পৌছানোর জন্য প্রাচীন ভারতের এক অসামান্য ভৌগলিক বিবরণ ফুটে তুলেছেন মেঘদূত কাব্যে।

তেমনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেঘদূত প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ অন্তলোকের প্রাচীন ভারতবর্ষের সৌন্দর্য্য হতে চিরকালের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন তাই কল্পনার রাজ্যে মেঘদূত এর মাধ্যমে তিনি প্রাচীন ভারত নগরীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য প্রবেশ করেছেন। প্রাচীন ভারতের রূপ বৈচিত্রের আভাস এবং কালীদাসের প্রতি শ্রদ্ধা,বিনয়,ভালোবাসা  প্রথমে ফুটে তোলেন মানসী কাব্যের (১৮৯০) মেঘদূত কবিতায় এবং পরবর্তীতে তা পূর্ণতা পায় প্রাচীন সাহিত্য(১৮৯১) গ্রন্থের অন্তগর্ত মেঘদূত প্রবন্ধে।

0 comments:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.