যা খুজতে চান

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Popular Posts

About blog

বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প ,নাটক ইত্যাদি বিষয় আলোচনা এবং অডিও বই এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যকে বাঙালিদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া’ ই আমাদের উদ্দেশ্য,আমাদের তৈরি ভিডিও গুলো আপনাদের উপকারে লাগলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১

 সুবোধ ঘোষ এর জন্ম ১৯০৯ সালের বিহারের হাজারিবাগে, তার আদি নিবাস হলো ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে। একটানা প্রায় চল্লিশ বছর ধরে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিবেদন ও কলাম লিখেছেন ফলে নিজেও সাহিত্য রচনার প্রয়াস পেয়েছেন।আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করার পূর্বে তিনি নানা বিচিত্র পেশায় কর্মরত ছিলেন, কখনো মড়ক প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার কাজ কখনো বাস কন্ডাক্টরের কাজ কখনো বা ছিলেন ট্রাক চালক। জীবনের এত সব বিচিত্র অভিজ্ঞতা থেকেই তার পক্ষে লেখা সম্ভব হয়েছে তার কালোত্তীর্ন গল্প ‘অযান্ত্রিক’। ‘অযান্ত্রিক’ গল্পের পেছনে ‘অনামীসঙ্ঘ’ এর প্রচ্ছন্ন ভূমিকা রয়েছে। ‘অনামীসঙ্ঘের’ সদস্য হলো আনন্দবাজার পত্রিকার সাহিত্যপ্রেমীরা। এ সঙ্ঘের উদ্দেশ্য প্রতি মাসের দুটি রবিবার কোনো এক সদস্যের বাড়িতে সাহিত্য সম্পর্কে আলোচনা এবং নিজেদের লেখা পাঠ করা। এই সংগঠনে সুবোধ ঘোষ সংযুক্ত ছিলেন কিন্তু ‍তিনি এইখানে শুধুমাত্র পেটপূজার জন্য আসতেন, অপেক্ষা করতেন কখন জিলিপি বা মিষ্টি আসবে । দরজার কাছাকাছি ছিল তার বসার স্থান কারন খেয়েদেয়ে যাতে তিনি তারাতারি সরে পড়তে পারেন। বিষয়টি অনামীসঙ্ঘের সর্ণকমল বাবু টের পেয়ে যান , সর্ণকমল বাবু সুবোধ ঘোষকে নির্দেশ দিলেন আগামী সভায় যেন তিনি কিছু লিখে নিয়ে আসেন । কি আর করা সুবোধ ঘোষ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অনেক খেটে খুটে লিখে ফেললেন ‘অযান্ত্রিক’ এবং ‘ফসিল’ নামে দুটি গল্প।


এ সম্পর্কে সুবোধ ঘোষ বলেন, 

“সন্ধ্যা বেলাতে বৈঠক ,আমি দুপুর বেলাতে অথাৎ বিকেল হবার আগেই মরিয়া হয়ে তাড়াতাড়ি গল্প দুটি লিখে ফেলেছিলাম। আশা ছিল , এইবার অনামীদের কেউ আর আমার সম্পর্কে রীতি ভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারবেন না । কিন্তু একটু্ও আশা করিনি যে অনামীরা আমার লেখা ওই দুই গল্প শুনে প্রীত হতে পারেন। অনামী বন্ধুদের অন্তরিক আনন্দের প্রকাশ ও উৎসাহবাণী আমার সাহিত্যিক কৃতার্থতার প্রথম মাঙ্গলিক ধান দূর্বা”


0 comments:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.